র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল
১২/০৩/২০২৩ইং তারিখে বরগুনা জেলার তালতলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লাউপাড়া
এলাকার সুলতান হাওলাদারের ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৫) একই এলাকার সোবাহান মোল্লার ৮ম
শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েকে(১৩) বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করে আসছিল।
এক সময় আসাদুল ঐ
মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সাথে প্রেম করতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে আসাদুল ঐ মেয়েকে
ভয়ভীতি এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখাইয়া ধর্ষণ করে এবং অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
ভিডিও কলে কথা বলার সময়ে আসাদুল ইসলাম(২৫) মেয়ের নগ্ন ছবি ধরে রাখে।
গত
০৮/০৩/২০২৩ইং তারিখ মেয়ের মা জোসনা বেগমকে ভিডিও দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি
করে আসাদুল ইসলাম(২৫)। ওই টাকা এক দিনের ভেতরে না দিলে ভিডিওটি সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন অতিবাহিত হয়ে গেলে টাকা না
পেয়ে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।
বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার সকালে জানা জানি হলে মা জোসনা বেগম (৩৫) ব্যাটারির
এসিড পানি খেয়ে আত্মহত্যার চেস্টা করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত
ঘটনায় মৃতর স্বামী বাদী হয়ে মুল আসামীর বিরুদ্ধে একটি বরগুনা জেলার তালতলী থানায় মামলা
দায়ের করে যাহার মামলা নং-০৪, তারিখ-১২/০৩/২০২৩ইং, ধারা-৩০৬ পেনাল কোড তৎসহ নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর
৮(১)। উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। বিষয়টি র্যাব-৮, বরিশাল, সিপিসি-১,
পটুয়াখালী এর নজরে আসে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীকে
ধৃত করার চেষ্ঠা অব্যাহত থাকে।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামী মোঃ আসাদুল
ইসলাম(২৫) এর অবস্থান নির্ণয় করে। প্রাপ্ত অবস্থান নির্ণয়ের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল
কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার জনাব তুহিন রেজা এর নেতৃত্বে ১২/০৩/২০২৩ইং
তারিখ সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় বর্ণিত আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত
আসামীকে বরগুনা জেলার তালতলী থানায় (মামলা নং-০৪, তারিখ-১২/০৩/২০২৩ইং, ধারা-৩০৬ পেনাল
কোড তৎসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ও পর্নোগ্রাফী
নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১) মূলে হস্তান্তর করা হয়